সম্প্রতি কোভিড-১৯ আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার গণসচেতনার সৃষ্টির লক্ষে ও করোনা নিয়ন্ত্রন রাখতে সাত দিনের জন্য দেশব্যাপি লক ডাউন ঘোষণা করেন। লক ডাউনের কার্যকারিতা শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। এ ঘোষণার সাথে সাথে শিল্প শহর নওয়াপাড়ায় নোয়াপাড়া সহ অভয়নগরের গিরাম গনজের সকল হাট-বাজারে দ্রব্যমূল্যে ধাম ধাম করে বাড়তে থাকে।
সোমবার অভয়নগর উপজেলায় বিভিন্ন হাট-বাজারে পরিদর্শন করে দ্রব্যমূল্য দাম জানতে পারি আমরা বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, আলু ১৮ টাকা, রসূন ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই একই পণ্য ১ দিন ব্যবধানে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছে সবজি বিক্রেতারা। একদিনের ব্যবধানে লকডাউন এর ঘোষণা শোনার পর দ্রব্যমূল্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা সাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ও ঘটেছে।
জাফরুল গ্ৰামের হাবিবুর ক্ষোভের সাথে জানান, সকালে রসূন কিনেছি ৪০ টাকা কেজি দরে সেই একই রসূন ১ ঘন্টার ব্যবধানে বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে।
বারান্দী গ্রামের আব্দুল রহমান জানান বিভিন্ন কাঁচা ও মুদি মালামাল কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় লক ডাউন ঘোষণার সাথে সাথে দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে যে, প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ও পরিলক্ষিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয় আমি কোন অভিযোগ পায়নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।